Skip to main content

পুরুষের ঘন ঘন প্রস্রাব হওয়ার পেছনে বিভিন্ন কারণ থাকতে পারে।



পুরুষের ঘন ঘন প্রস্রাব হওয়ার পেছনে বিভিন্ন কারণ থাকতে পারে। এটি কখনও সাধারণ সমস্যা হতে পারে, আবার কখনও এটি কোনও স্বাস্থ্য সমস্যার ইঙ্গিত হতে পারে। নিচে কিছু সম্ভাব্য কারণ উল্লেখ করা হলো:

1. প্রস্টেটের সমস্যা:বৃদ্ধ প্রস্টেট গ্রন্থি (Benign Prostatic Hyperplasia - BPH): পুরুষদের বয়স বাড়ার সাথে সাথে প্রস্টেট গ্রন্থি বড় হয়ে যায়, যা মূত্রথলির ওপর চাপ তৈরি করে। ফলে ঘন ঘন প্রস্রাবের প্রয়োজন হতে পারে।প্রস্টেটাইটিস (Prostatitis): প্রস্টেটের প্রদাহের কারণে প্রস্রাবে জ্বালাপোড়া, ঘন ঘন প্রস্রাবের ইচ্ছা এবং তলপেটে ব্যথা হতে পারে।

2. মূত্রনালির সংক্রমণ (Urinary Tract Infection - UTI):মূত্রনালিতে সংক্রমণ হলে প্রস্রাবের সময় ব্যথা এবং ঘন ঘন প্রস্রাবের প্রয়োজন অনুভব হতে পারে। যদিও এটি সাধারণত নারীদের মধ্যে বেশি দেখা যায়, তবে পুরুষদেরও এই সমস্যা হতে পারে।


3. ডায়াবেটিস:অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিস থাকলে শরীর অতিরিক্ত শর্করা প্রস্রাবের মাধ্যমে বের করার চেষ্টা করে, যার ফলে ঘন ঘন প্রস্রাবের ইচ্ছা হয়।


4. ডায়াবেটিস ইনসিপিডাস (Diabetes Insipidus):এটি এমন একটি অবস্থা যেখানে শরীর পর্যাপ্ত পরিমাণে অ্যান্টিডিউরেটিক হরমোন (ADH) তৈরি করতে ব্যর্থ হয়, যার ফলে শরীর প্রচুর পরিমাণে প্রস্রাব তৈরি করে।


5. ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া:কিছু ওষুধ, যেমন ডিউরেটিক্স (Diuretics), যা সাধারণত উচ্চ রক্তচাপের চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়, তা ঘন ঘন প্রস্রাবের কারণ হতে পারে।


6. প্রচুর পানি বা অন্যান্য তরল পান:অতিরিক্ত পানি বা ক্যাফেইন জাতীয় পানীয় পান করলেও ঘন ঘন প্রস্রাব হতে পারে।


7. অনিদ্রাজনিত সমস্যা (Sleep Apnea):রাতে ঘুমের ব্যাঘাতের কারণে অনেক পুরুষ ঘন ঘন প্রস্রাব করতে উঠে থাকেন।


8. মূত্রথলির সমস্যা:মূত্রথলির অতিসক্রিয়তা (Overactive Bladder) থাকলে মূত্রথলি সঠিকভাবে কাজ না করে, ফলে প্রস্রাবের চাপ বেশি অনুভূত হয়।যদি 


ঘন ঘন প্রস্রাবের সমস্যা দীর্ঘদিন ধরে থাকে, তবে একজন চিকিৎসকের সাথে পরামর্শ করা জরুরি, কারণ এটি কোনও গুরুতর স্বাস্থ্য সমস্যার লক্ষণ হতে পারে।

Comments

Popular posts from this blog

চোখের নিচে বালি রেখা দূর করার উপায়

  চোখের নিচে কালো দাগ দূর করার সহজ পদ্ধতি চোখের নিচে কালো দাগ (Dark Circles) অনেকের জন্যই বিরক্তিকর সমস্যা হতে পারে। এটি সাধারণত ঘুমের অভাব, স্ট্রেস, পানির অভাব, অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস, বা বয়স বৃদ্ধির ফলে হয়ে থাকে। তবে কিছু ঘরোয়া উপায় ও স্বাস্থ্যকর অভ্যাস মেনে চললে সহজেই এই সমস্যা দূর করা সম্ভব। চোখের চারপাশের কালচে দাগ হওয়ার কারণ চোখের চারপাশের কালচে দাগ (Dark Circles) হওয়ার প্রধান কারণগুলো হলো—ঘুমের অভাব, মানসিক চাপ, বয়স বৃদ্ধিজনিত ত্বকের পরিবর্তন, পানিশূন্যতা, অ্যালার্জি, অতিরিক্ত সূর্যালোকের সংস্পর্শ, জেনেটিক কারণ ও অনিয়মিত জীবনযাপন। এছাড়া ধূমপান, অ্যালকোহল সেবন এবং অনিয়ন্ত্রিত খাদ্যাভ্যাসও এই সমস্যার জন্য দায়ী হতে পারে। চোখের নিচে কালো দাগ দূর করার সহজ পদ্ধতি: ১. পর্যাপ্ত ঘুম নিশ্চিত করুন প্রতিদিন কমপক্ষে ৭-৮ ঘণ্টা ঘুমানো দরকার। ঘুমের অভাবে চোখের চারপাশে রক্ত সঞ্চালন বাধাগ্রস্ত হয়, যা কালো দাগ হয়। তাই রাতে ঘুমানোর অভ্যাস করুন। ২. শসার ব্যবহার শসার রস প্রাকৃতিক ব্লিচিং এজেন্ট হিসেবে কাজ করে এবং ত্বককে ঠান্ডা রাখতে সহায়তা করে। চোখের ব্যবহার করলে অনেকটা কালো দাগ কমবে। ক...

ত্বকের কালো দাগ দূর করার উপায়

  ত্বকের কালো দাগ দূর করার সহজ ও কার্যকর উপায় Pimple  ত্বকের কালো দাগ অনেকের জন্যই চিন্তার কারণ হতে পারে। ব্রণ, সূর্যের অতি বেগুনি রশ্মি, হরমোনজনিত পরিবর্তন, বা ত্বকের আঘাতের কারণে এসব দাগ দেখা দিতে পারে। তবে কিছু কার্যকর ঘরোয়া উপায় ও চিকিৎসার মাধ্যমে  ত্বকের কালো দাগ দূর করা সম্ভব। চলুন দেখে নেওয়া যাক কিছু উপকারী উপায়— ১. লেবুর রস ও মধু ব্যবহার করুন লেবুর রসে থাকা প্রাকৃতিক ব্লিচিং উপাদান ত্বকের দাগ হালকা করতে সাহায্য করে। লেবুর রসের সঙ্গে এক চা-চামচ মধু মিশিয়ে দাগের উপর লাগিয়ে ১০-১৫ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন। তবে সংবেদনশীল ত্বকে লেবুর রস সরাসরি ব্যবহার না করাই ভালো। ২. অ্যালোভেরা জেলের ব্যবহার অ্যালোভেরা ত্বকের জন্য অত্যন্ত উপকারী। এতে থাকা অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ও অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান ত্বকের দাগ হালকা করতে সাহায্য করে। প্রতিদিন রাতে ঘুমানোর আগে ত্বকে তাজা অ্যালোভেরা জেল লাগান এবং সকালে ধুয়ে ফেলুন। ৩. কাঁচা হলুদের প্যাক ব্যবহার করুন Tarmaric powder  হলুদে থাকা কিউমারিন যৌগ ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করে এবং দাগ হালকা করতে সাহায্য করে। এক চা-চামচ কা...

সরিষার তেলের গোপন তথ্য / sorisa teler karjokarita

  সরিষার তেল আমাদের দৈনন্দিন জীবনে একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান, যা শুধু রান্নার কাজেই নয়, বরং শারীরিক যত্নেও বহুল ব্যবহৃত। বিশেষ করে নাভিতে সরিষার তেল দেওয়ার বিষয়টি আমাদের লোকজ চিকিৎসা ও আর্বুদ চর্চায় দীর্ঘদিন ধরে প্রচলিত। এর পেছনে বৈজ্ঞানিক এবং ঐতিহ্যগত কারণও রয়েছে। চলুন, জেনে নিই নাভিতে সরিষার তেল দেওয়ার উপকারিতা ও সম্ভাব্য প্রভাব। ১. ত্বকের যত্নে সহায়তা নাভি শরীরের একটি কেন্দ্রীয় স্থান, যা ত্বকের তেল নিঃসরণে ভূমিকা রাখে। সরিষার তেলে অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টি-ফাঙ্গাল উপাদান রয়েছে, যা নাভির চারপাশে ত্বকের সংক্রমণ রোধে কার্যকর। এটি ত্বককে মসৃণ এবং কোমল রাখতেও সাহায্য করে। ২. হজম শক্তি উন্নত করে (sorisa) নাভিতে সরিষার তেল ব্যবহার করলে হজম প্রক্রিয়ায় ইতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে। আয়ুর্বেদ শাস্ত্র অনুসারে, নাভির মাধ্যমে তেলের উপাদান শরীরে প্রবেশ করে হজমের কার্যক্রম উন্নত করতে পারে। এটি গ্যাস, পেট ফাঁপা এবং বদহজম দূর করতে সাহায্য করে। ৩. হরমোনাল ভারসাম্য বজায় রাখা নাভিকে শরীরের কেন্দ্রীয় নার্ভ সিস্টেমের সঙ্গে যুক্ত বলে মনে করা হয়। সরিষার তেলের মতো প্রাকৃতিক তেল নাভিতে দিলে ...