লবঙ্গর বৈজ্ঞানিক নাম Syzygium
লবঙ্গর ইংরেজি শব্দ (Clove) এটি এক ধরনের মসলা, যা লবঙ্গ গাছের (Syzygium aromaticum) শুকনো ফুলের কুঁড়ি থেকে তৈরি হয়। এটি ঝাঁঝালো গন্ধ ও স্বাদযুক্ত, যা মূলত রান্না, ওষুধ ও আয়ুর্বেদিক চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়।
লবঙ্গ একটি সুগন্ধি মসলা, যা খাবারের স্বাদ ও সুগন্ধ বৃদ্ধির পাশাপাশি স্বাস্থ্য উপকারিতার জন্যও পরিচিত।
লবঙ্গের কিছু গুরুত্বপূর্ণ উপকারিতা হলো
১/ লবঙ্গে উপস্থিত ইউজেনল (Eugenol) দাঁতের ব্যথা উপশমে সহায়ক।
এটি অ্যান্টিসেপটিক হিসেবে কাজ করে এবং মুখের দুর্গন্ধ দূর করে।
=> লবঙ্গ হজমশক্তি বৃদ্ধি করে ও পেট ফাঁপা, গ্যাস ও বদহজম দূর করতে সাহায্য করে।এটি পাকস্থলীর অম্লতা নিয়ন্ত্রণে রাখে।
লবঙ্গের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।
ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে।
২/ লবঙ্গ গলা ব্যথা, কাশি ও শ্বাসকষ্ট দূর করতে সাহায্য করে।
৩/ ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য উপকারী।
লবঙ্গ লিভারের কার্যকারিতা উন্নত করে এবং টক্সিন দূর করতে সহায়তা করে ।
৪/ লবঙ্গের তেল বাতের ব্যথা ও মাংসপেশির ব্যথা কমে লবঙ্গ পরিমিত পরিমাণে গ্রহণ করা স্বাস্থ্যকর, তবে অতিরিক্ত খেলে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হতে পারে।
৫/ লবঙ্গে থাকা ফ্ল্যাভোনয়েড, অ্যালকালয়েড ও স্যাপোনিন যৌন ইচ্ছা বা কামশক্তি বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। যৌন ক্ষমতা এবং টেস্টোস্টেরনের মাত্রা বৃদ্ধির পাশাপাশি অকাল বীর্যপাত রোধে বহু শতাব্দী ধরে লবঙ্গের ব্যবহার হয়ে আসছে। লবঙ্গ স্নায়ুতন্ত্রকে উত্তেজিত করে যৌন উত্তেজনা বৃদ্ধির পাশাপাশি সঙ্গমের ইচ্ছে বাড়াতে কার্যকর ভূমিকা রাখে।
লবঙ্গের উপকারী তার পাশাপাশি অতিরিক্ত খেলে কিছু ক্ষতিকর দিক রয়েছে
১/ অতিরিক্ত লবঙ্গ খেলে অম্লতা (Acidity) ও পাকস্থলীর জ্বালাপোড়া হতে পারে।
২/ লবঙ্গে থাকা ইউজেনল (Eugenol) রক্ত পাতলা করে, যা বেশি খেলে রক্তক্ষরণ (Bleeding) হতে পারে।
৩/ লবঙ্গ রক্তচাপ কমাতে পারে, যা লো ব্লাড প্রেসার (Hypotension) সমস্যায় ভোগা ব্যক্তিদের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে।
৪/ অতিরিক্ত লবঙ্গ খেলে লিভারের ওপর অতিরিক্ত চাপ পড়ে, যা দীর্ঘমেয়াদে লিভারের কার্যকারিতা দুর্বল করতে পারে।
৫/ কিছু মানুষের ক্ষেত্রে লবঙ্গের তেল বা বেশি পরিমাণ লবঙ্গ খেলে এলার্জি, চুলকানি বা ত্বকের র্যাশ হতে পারে।
কতটুকু লবঙ্গ খাওয়া নিরাপদ?
দিনে ১-২টি লবঙ্গ খাওয়া সাধারণত নিরাপদ।
যদি কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দেয়, তবে খাওয়া বন্ধ করে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
Comments
Post a Comment