Skip to main content

Anti-Aging Foods: 'বুড়ো' হওয়া আটকে দেয় এই ৮ টি সস্তার খাবার ত্বক হবে উজ্জ্বল এবং তারুণ্যময়

 

ত্বক হবে উজ্জ্বল এবং তারুণ্যময়


বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে শরীরে নানা পরিবর্তন আসে, তবে কিছু খাবার নিয়মিত খেলে বয়সের ছাপ অনেকটাই কমানো সম্ভব। কিছু বিশেষ খাবার আছে, যা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ভিটামিন ও মিনারেলে ভরপুর এবং ত্বক ও শরীরকে তরুণ রাখে। আসুন জেনে নেওয়া যাক, সস্তায় সহজলভ্য ৮টি অ্যান্টি-এজিং খাবারের কথা ।


টমেটো

১. টমেটো 

শুধু একটি সুস্বাদু সবজি নয়, এটি তারুণ্য ধরে রাখার জন্য একটি অত্যন্ত কার্যকরী প্রাকৃতিক উপাদান। টমেটোতে থাকা লাইকোপিন (Lycopene) নামক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ত্বকের কোষগুলিকে ফ্রি র্যাডিক্যালের ক্ষতি থেকে রক্ষা করে, যা বলিরেখা ও ত্বকের বয়সের ছাপ কমাতে সহায়তা করে।

২. বাদাম

বিশেষ করে আলমন্ড ও ওয়ালনাট শরীরের জন্য উপকারী। এতে ওমেগা-৩ ও ভিটামিন E রয়েছে, যা ত্বককে মসৃণ ও উজ্জ্বল রাখে।তারুণ্য ধরে রাখতে বাদাম একটি চমৎকার খাবার। বাদামে প্রচুর ভিটামিন, অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড এবং প্রোটিন থাকে, যা ত্বক, চুল ও সার্বিক স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী।

৩. গ্রিন টি

গ্রিন টিতে প্রচুর অ্যান্টিঅক্সিডেন্টপলিফেনলস রয়েছে, যা ত্বকের বলিরেখা কমাতে সাহায্য করে।

৪. দই (Yogurt)

প্রোবায়োটিকসমৃদ্ধ দই হজমের উন্নতি ঘটায়, যা ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে সহায়ক।

৫. হলুদ

হলুদের প্রধান উপাদান ক্যারকুমিন, যা ত্বকের ইনফ্লেমেশন কমিয়ে তারুণ্য ধরে রাখে।হলুদ তারুণ্য ধরে রাখতে দারুণ কার্যকরী হতে পারে, কারণ এতে আছে শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও প্রদাহ-নিবারক উপাদান। বিশেষ করে হলুদের প্রধান উপাদান কারকুমিন ত্বকের যত্ন ও স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সাহায্য করে।

৬. বেদানা (Pomegranate)

বেদানায় অ্যান্টি-এজিং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে, যা কোলাজেন উৎপাদনে সহায়তা করে ও ত্বক টানটান রাখে।



শাক-সবজি



৭. শাক-সবজি

বিশেষ করে পালং শাক, ব্রকলি ও গাজর ত্বকের তারুণ্য ধরে রাখতে সহায়ক, কারণ এগুলোতে প্রচুর ভিটামিন C, বিটা ক্যারোটিন ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে।তারুণ্য ধরে রাখতে শাকসবজি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। কারণ এগুলো অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ভিটামিন, মিনারেল এবং ফাইবার সমৃদ্ধ, যা ত্বক, চুল এবং সামগ্রিক স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সাহায্য করে।

৮. ডার্ক চকলেট

কোকো ফ্ল্যাভোনয়েড সমৃদ্ধ ডার্ক চকলেট ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখতে সাহায্য করে এবং বলিরেখা কমায়।ডার্ক চকলেট তারুণ্য ধরে রাখতে সহায়ক হতে পারে, কারণ এতে প্রচুর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ফ্ল্যাভানয়েড, এবং ম্যাগনেশিয়াম রয়েছে, যা ত্বক ও স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী।নিয়মিত ডার্ক চকলেট খেলে তারুণ্য ধরে রাখা সম্ভব, তবে পরিমিত খাওয়াই ভালো


এই খাবারগুলো নিয়মিত খেলে শুধু ত্বকই নয়, পুরো শরীর দীর্ঘদিন সুস্থ ও তরুণ থাকবে

Comments

Popular posts from this blog

চোখের নিচে বালি রেখা দূর করার উপায়

  চোখের নিচে কালো দাগ দূর করার সহজ পদ্ধতি চোখের নিচে কালো দাগ (Dark Circles) অনেকের জন্যই বিরক্তিকর সমস্যা হতে পারে। এটি সাধারণত ঘুমের অভাব, স্ট্রেস, পানির অভাব, অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস, বা বয়স বৃদ্ধির ফলে হয়ে থাকে। তবে কিছু ঘরোয়া উপায় ও স্বাস্থ্যকর অভ্যাস মেনে চললে সহজেই এই সমস্যা দূর করা সম্ভব। চোখের চারপাশের কালচে দাগ হওয়ার কারণ চোখের চারপাশের কালচে দাগ (Dark Circles) হওয়ার প্রধান কারণগুলো হলো—ঘুমের অভাব, মানসিক চাপ, বয়স বৃদ্ধিজনিত ত্বকের পরিবর্তন, পানিশূন্যতা, অ্যালার্জি, অতিরিক্ত সূর্যালোকের সংস্পর্শ, জেনেটিক কারণ ও অনিয়মিত জীবনযাপন। এছাড়া ধূমপান, অ্যালকোহল সেবন এবং অনিয়ন্ত্রিত খাদ্যাভ্যাসও এই সমস্যার জন্য দায়ী হতে পারে। চোখের নিচে কালো দাগ দূর করার সহজ পদ্ধতি: ১. পর্যাপ্ত ঘুম নিশ্চিত করুন প্রতিদিন কমপক্ষে ৭-৮ ঘণ্টা ঘুমানো দরকার। ঘুমের অভাবে চোখের চারপাশে রক্ত সঞ্চালন বাধাগ্রস্ত হয়, যা কালো দাগ হয়। তাই রাতে ঘুমানোর অভ্যাস করুন। ২. শসার ব্যবহার শসার রস প্রাকৃতিক ব্লিচিং এজেন্ট হিসেবে কাজ করে এবং ত্বককে ঠান্ডা রাখতে সহায়তা করে। চোখের ব্যবহার করলে অনেকটা কালো দাগ কমবে। ক...

ত্বকের কালো দাগ দূর করার উপায়

  ত্বকের কালো দাগ দূর করার সহজ ও কার্যকর উপায় Pimple  ত্বকের কালো দাগ অনেকের জন্যই চিন্তার কারণ হতে পারে। ব্রণ, সূর্যের অতি বেগুনি রশ্মি, হরমোনজনিত পরিবর্তন, বা ত্বকের আঘাতের কারণে এসব দাগ দেখা দিতে পারে। তবে কিছু কার্যকর ঘরোয়া উপায় ও চিকিৎসার মাধ্যমে  ত্বকের কালো দাগ দূর করা সম্ভব। চলুন দেখে নেওয়া যাক কিছু উপকারী উপায়— ১. লেবুর রস ও মধু ব্যবহার করুন লেবুর রসে থাকা প্রাকৃতিক ব্লিচিং উপাদান ত্বকের দাগ হালকা করতে সাহায্য করে। লেবুর রসের সঙ্গে এক চা-চামচ মধু মিশিয়ে দাগের উপর লাগিয়ে ১০-১৫ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন। তবে সংবেদনশীল ত্বকে লেবুর রস সরাসরি ব্যবহার না করাই ভালো। ২. অ্যালোভেরা জেলের ব্যবহার অ্যালোভেরা ত্বকের জন্য অত্যন্ত উপকারী। এতে থাকা অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ও অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান ত্বকের দাগ হালকা করতে সাহায্য করে। প্রতিদিন রাতে ঘুমানোর আগে ত্বকে তাজা অ্যালোভেরা জেল লাগান এবং সকালে ধুয়ে ফেলুন। ৩. কাঁচা হলুদের প্যাক ব্যবহার করুন Tarmaric powder  হলুদে থাকা কিউমারিন যৌগ ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করে এবং দাগ হালকা করতে সাহায্য করে। এক চা-চামচ কা...

সরিষার তেলের গোপন তথ্য / sorisa teler karjokarita

  সরিষার তেল আমাদের দৈনন্দিন জীবনে একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান, যা শুধু রান্নার কাজেই নয়, বরং শারীরিক যত্নেও বহুল ব্যবহৃত। বিশেষ করে নাভিতে সরিষার তেল দেওয়ার বিষয়টি আমাদের লোকজ চিকিৎসা ও আর্বুদ চর্চায় দীর্ঘদিন ধরে প্রচলিত। এর পেছনে বৈজ্ঞানিক এবং ঐতিহ্যগত কারণও রয়েছে। চলুন, জেনে নিই নাভিতে সরিষার তেল দেওয়ার উপকারিতা ও সম্ভাব্য প্রভাব। ১. ত্বকের যত্নে সহায়তা নাভি শরীরের একটি কেন্দ্রীয় স্থান, যা ত্বকের তেল নিঃসরণে ভূমিকা রাখে। সরিষার তেলে অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টি-ফাঙ্গাল উপাদান রয়েছে, যা নাভির চারপাশে ত্বকের সংক্রমণ রোধে কার্যকর। এটি ত্বককে মসৃণ এবং কোমল রাখতেও সাহায্য করে। ২. হজম শক্তি উন্নত করে (sorisa) নাভিতে সরিষার তেল ব্যবহার করলে হজম প্রক্রিয়ায় ইতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে। আয়ুর্বেদ শাস্ত্র অনুসারে, নাভির মাধ্যমে তেলের উপাদান শরীরে প্রবেশ করে হজমের কার্যক্রম উন্নত করতে পারে। এটি গ্যাস, পেট ফাঁপা এবং বদহজম দূর করতে সাহায্য করে। ৩. হরমোনাল ভারসাম্য বজায় রাখা নাভিকে শরীরের কেন্দ্রীয় নার্ভ সিস্টেমের সঙ্গে যুক্ত বলে মনে করা হয়। সরিষার তেলের মতো প্রাকৃতিক তেল নাভিতে দিলে ...