Skip to main content

Posts

Showing posts from August, 2025

ত্বকের যত্নে কি কি ভিটামিনের প্রয়োজন

  সুন্দর, উজ্জ্বল ও সুস্থ ত্বক সকলেরই কাম্য। কিন্তু বয়স, পরিবেশের প্রভাব, দূষণ, মানসিক চাপ এবং খাদ্যাভ্যাসের কারণে ত্বকের স্বাভাবিক উজ্জ্বলতা নষ্ট হয়ে যায়। অনেক সময় দামি প্রসাধনী ব্যবহার করেও ত্বককে সুস্থ রাখা যায় না, কারণ ভেতর থেকে ত্বকের পুষ্টির ঘাটতি পূরণ হয় না। আর এই ভেতরের যত্নের মূল উপাদান হলো ভিটামিন। সঠিক ভিটামিন গ্রহণ করলে শুধু ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ে না, বরং বলিরেখা, দাগ, ব্রণসহ নানা সমস্যাও কমে যায়। চলুন জেনে নেওয়া যাক ত্বকের যত্নে কোন কোন ভিটামিন প্রয়োজন— ১. ভিটামিন এ ভিটামিন এ ত্বককে স্বস্থ্যকর রাখতে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভিটামিনগুলোর একটি। এটি ত্বকের কোষ পুনর্গঠনে সাহায্য করে এবং রুক্ষ, শুষ্ক বা খসখসে ত্বক প্রতিরোধ করে। এছাড়া এটি ব্রণ কমাতেও ভূমিকা রাখে। রেটিনল, যা ভিটামিন এ-এর একধরনের উপাদান, তা ত্বকের বয়সজনিত বলিরেখা হ্রাস করতে কার্যকর। উৎস: গাজর, মিষ্টি আলু, পালং শাক, ডিম, মাছের তেল ইত্যাদি। ২. ভিটামিন সি ভিটামিন সি হলো প্রাকৃতিক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, যা ত্বককে ফ্রি র‍্যাডিকেল ক্ষতি থেকে রক্ষা করে। এটি কোলাজেন তৈরিতে সাহায্য করে, ফলে ত্বক থাকে টানটান ও মসৃণ। নিয়মিত...

ডাক্তারদের মতে সবচেয়ে বেশি প্রয়োজনীয় শাকসবজি

শরীর সুস্থ রাখতে প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় শাকসবজির কোনো বিকল্প নেই। ডাক্তাররা সবসময় পরামর্শ দেন, ভাত-রুটি যতটুকুই খান না কেন, তার সাথে প্রতিদিন পর্যাপ্ত শাকসবজি রাখতে হবে। কারণ শাকসবজি শুধু ভিটামিন আর খনিজের উৎস নয়, এটি শরীরকে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা থেকে শুরু করে পাচনশক্তি উন্নত করা পর্যন্ত নানা উপকার করে থাকে। তবে অনেকের প্রশ্ন—ডাক্তারদের মতে কোন শাকসবজি সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন? চলুন জেনে নেওয়া যাক। ১. পালং শাক ডাক্তারদের মতে পালং শাক হলো অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ শাক। এতে রয়েছে আয়রন, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, ভিটামিন এ, সি ও কে। যারা রক্তশূন্যতায় ভোগেন, তাদের জন্য পালং শাক অত্যন্ত কার্যকর। এটি রক্ত বাড়ায়, চোখের দৃষ্টি শক্তি ভালো রাখে এবং হাড় মজবুত করে। ২. লাল শাক লাল শাকে প্রচুর পরিমাণে আয়রন ও বিটা-ক্যারোটিন রয়েছে। এটি রক্ত বাড়াতে সাহায্য করে এবং শরীরকে সতেজ রাখে। ডাক্তাররা বিশেষ করে শিশু ও গর্ভবতী নারীদের লাল শাক খাওয়ার পরামর্শ দেন। ৩. ঢেঁড়স ঢেঁড়সের ভেতরে থাকা আঁশ হজমশক্তি উন্নত করে। এটি রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণে রাখে, তাই ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য ঢেঁড়স খুবই উপকারী। এছাড়া...

প্রতিদিন খাবার তালিকায় বাদাম কেন রাখবেন?

আমাদের প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় বাদাম একটি স্বাস্থ্যকর এবং শক্তিবর্ধক খাবার। বাদামে রয়েছে প্রচুর ভিটামিন, খনিজ পদার্থ, স্বাস্থ্যকর চর্বি ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা শরীরকে ভেতর থেকে সুস্থ রাখে। প্রতিদিন অল্প কিছু বাদাম খেলে শরীর পায় প্রাকৃতিক পুষ্টি ও শক্তি, যা আমাদের কর্মক্ষমতা ও মানসিক সতেজতা বাড়াতে সাহায্য করে। নিচে প্রতিদিন বাদাম খাওয়ার কিছু টিপস দেওয়া হলো— ১. সকালের নাশতায় বাদাম দিনের শুরুতে খালি পেটে ভিজানো বাদাম খাওয়া সবচেয়ে উপকারী। রাতে কয়েকটি বাদাম পানিতে ভিজিয়ে রাখুন এবং সকালে খেয়ে নিন। এতে পাচনশক্তি বাড়ে এবং শক্তি সঞ্চয় হয়। ২. অল্প পরিমাণে খান বাদামে প্রচুর ক্যালোরি থাকে। তাই একবারে বেশি না খেয়ে প্রতিদিন ৫–৮টি কাঠবাদাম , ২–৩টি আখরোট অথবা একমুঠো চিনাবাদাম করে খাওয়া যথেষ্ট। ৩. ডায়েট কন্ট্রোলে সাহায্য করে যারা ওজন নিয়ন্ত্রণ করতে চান, তাদের জন্য বাদাম ভালো স্ন্যাক্স। এতে ক্ষুধা নিয়ন্ত্রণ হয় এবং অপ্রয়োজনীয় খাবার খাওয়ার প্রবণতা কমে। ৪. হৃদযন্ত্রের জন্য উপকারী বাদামে রয়েছে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড ও স্বাস্থ্যকর ফ্যাট, যা কোলেস্টেরল কমায় এবং হৃদরোগের ঝুঁকি হ্রাস করে। প্রতিদিন অল্প...